সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নীতিনকুমার বিশ্বাস

নীতিনকুমার বিশ্বাস পুলিশ-শিল্পী। কোচবিহারে মদনমোহন মূর্তি চুরি থেকে পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণ মামলা, খাদিম-কর্তা অপহরণ থেকে সার্জেন্ট বাপি সেন হত্যা রহস্যের কিনারা হয়েছে তাঁর হাতের জাদুতে। বহু কুখ্যাত অপরাধী ধরা পড়েছে তাঁর আঁকা ছবির সূত্রে।  দীপঙ্কর ভট্টাচার্য কতই বা বয়স হবে তখন, বছর তেরো! বাড়ি ছেড়ে পালালেন নীতিন। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করল বজবজে, ট্রেনে। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় আগে উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ যাওয়া সহজ ছিল না। পকেট ভর্তি পেনসিল, রং, তুলি-সহ ধরা পড়া ওই কিশোরকে পুলিশকর্তা যখন জিজ্ঞেস করলেন, কেন পালিয়েছিলে, নীতিনের জবাব— ‘‘আঁকব বলে। বাড়ির লোক আঁকতে দেয় না।’’ ঘরে ফিরলেন নীতিন, কিন্তু বুকের ভিতরের ঘরছুট ভাবটা রেহাই দেয়নি তাঁকে। আবারও ঘর ছেড়েছেন। সঙ্গী কাগজ-পেনসিল, রং-তুলি। বাবা চাইতেন পড়াশোনাতেই সময় দিক ছেলে। দাদা গোবিন্দলালেরও সেই ইচ্ছে। কিন্তু নীতিনকে বাঁধবে কে? রাতবিরেতে বিছানা খালি। নীতিন ঘুরছেন সার্কাসের তাঁবু বা পুজো প্যান্ডেলে। সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ড বা অন্য আর্ট ওয়ার্কগুলো স্বেচ্ছায় এঁকে দিতেন। পয়সা নয়, তাঁর আনন্দ আঁকাতেই।

বাংলায় ব্রাহ্মণ

একদা এঁরা বাংলায় আসেন, রাজাদের পৃষ্ঠপোষণায় জমিজিরেত ও হরেক সুবিধা ভোগ করেন। অতঃপর আদিশূর নামে আধা-কল্পিত এক চরিত্রকে ঘিরে নিজেদের সামাজিক মর্যাদা আরও বাড়িয়ে নেন, সেই অনুযায়ী স্মৃতি, শাস্ত্র ও কুলজিগ্রন্থ রচনা করেন। ক্রমশ বৈদিক, রাঢ়ী, বারেন্দ্র, কুলীন, ভঙ্গ ইত্যাদি হরেক ভাগে বিভক্ত হয়ে যান। এঁরাই  বাঙালি ব্রাহ্মণ! কুণাল চক্রবর্তী ২৭ মে, ২০১৮, ০০:৩৪:৩৪ ব্রাহ্মণরা বাংলার আদি অধিবাসী নয়। বস্তুত দীর্ঘ দিন বাংলা ব্রাহ্মণদের প্রভাবসীমার বাইরে ছিল। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের নৃতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিকেরা লক্ষ করেছিলেন, ‘আর্য’রা পূর্ব ভারতে কিছুটা দেরিতে পৌঁছেছিল এবং তাদের অগ্রগতি স্থানীয় মানুষ প্রতিরোধ করেছিল। বাংলা অবশ্য শেষ পর্যন্ত ব্রাহ্মণ্য বলয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, কিন্তু প্রক্রিয়াটি খুব সহজ হয়নি। ব্রাহ্মণ্যবাদ যে ক্রমশ পূর্ব দিকে বিস্তৃত হচ্ছিল, প্রাচীন ব্রাহ্মণ্য সাহিত্যে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। অথর্ব বেদেই মগধ ও অঙ্গের প্রথম নিঃসংশয় উল্লেখ আছে। এই গ্রন্থটির মতে এ দুটি ছিল ব্রাত্যদের দেশ। বঙ্গের প্রথম দ্বিধান্বিত উল্লেখ পাই ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে