সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নদীয়া হাউস

        গর্ব করে যিনি নিজেকে 'কৃষ্ণনাগরিক' বলতেন সেই প্রমথ চৌধুরী থাকতেন বালিগঞ্জে, ২নং ব্রাইট স্ট্রীটের বাড়িতে। আশ্চর্য যোগাযোগ। ১৯২০ সালে কৃষ্ণনগরের মহারাজা ক্ষৌণীশ চন্দ্র রায় এই বাড়িটি কিনে নেন প্রমথ চৌধুরীর পত্নি সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোন ইন্দিরা দেবির কাছ থেকে। কৃষ্ণনগরের প্রমথ চৌধুরীর বাড়িটি কিনে নেন কৃষ্ণনগরের মহারাজা পরিবার।       বাড়ি বা জমি কেনা বেচার মধ্যে স্থান কাল পাত্রের ইতিহাসও অবিচ্ছেদ্য ভাবে জড়িয়ে থাকে। ২ নং ব্রাইট স্ট্রীটের বাড়িরও এরকম ইতিহাস আছে। ব্রাইট স্ট্রীটের আগের নাম ছিল ঘুঘুডাঙ্গা রোড। তারও আগে নাম ছিল গুপিডাঙ্গা লেন। ব্রাইট স্ট্রিট নাম যখন হয়েছে তখন আদি কলকাতার পঞ্চান্ন গ্রামে অন্য একটি গ্রাম বা পাড়া হিসাবে ওই অঞ্চলকে চেনার আর কোন উপায় ছিল না। ১৯০০ সালের ১ সেপ্টেম্বর আর্মেনিয়ান চার্চের রেভারেন্ট টমাস ম্যাল্কম ও তার স্ত্রী ২ নং ঘুঘুডাঙ্গা রোডের ৯ বিঘা ৫ কাঠা ১০ ছটাক জমি সমেত তার বসত বাড়িটি মর্টগেজ দেন ভারতের প্রথম আই সি এস সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র সুরেন্দ্রতনাথ ঠাকুরকে। এই তারিখে মর্টগেজ দলিল হয়। কিন্তু রেভারেন্ট ম্যাল্কম তার বাড়িটি ছাড়িয়ে নিতে পারে

বনেদি কলকাতার ঘর বাড়ি

          পথ চলতে চলতে চোখে পড়ে কলকাতার স্কাইলাইন কি দ্রুত পালটে যাচ্ছে। এমন একদিন হয়তো আসবে, যেদিন বহুতল বাড়ি আর ব্যস্ত রাস্তার লোকজনের ভিরে পুরনো কলকাতার  স্থাপত্যের বনেদিয়ানা একেবারেই হারিয়ে যাবে। সেই স্থাপত্যকে যতটা সম্ভব ধরে রাখতে গিয়েই, তাদের কথা বাঙালির মনে পৌঁছে দিতে গিয়েই এই প্রচেষ্টা।        কলকাতার গলিতে-ঘুঁজিতে পুরনো ধুলোর গন্ধভরা এক একটি অট্টালিকার অন্ধকার বিশাল বিশাল কক্ষে সময় আঠারো বা উনিশ শতকে থমকে আছে। সেই কলকাতার ইতিহাস, সমাজতত্ব, সংস্কৃতি আমাদের অভিভুত না করে পারে না।        এই শহরকে যারা হাতে ধরে গড়ে তুলেছিল। নিজেদের পাশাপাশি এই শহরকেও করেছিল বিত্তশালী তাদের কথাই মনে করিয়ে দেয় অট্টালিকা গুলো। আজ তারা নেই, কিন্তু রয়ে গেছে তাদের স্মৃতি।      স্থাপত্যের বহিরঙ্গের সৌন্দর্যই তার একমাত্র পরিচয় নয়। তার ভিতরের মানুষের ইতিহাস, জীবনচর্চা ও সংস্কৃতি এই সবই এই স্থাপত্যের অঙ্গ। তাই প্রাসঙ্গিক ভাবেই এসেছে বনেদি কলকাতার মানুষের কথা। প্রত্যেকটি বনেদি বাড়ির ছিল আলাদা আলাদা স্বকীয় বৈশিষ্ট্য।           সম্পূর্ণ অন্য স্বাদের কলকাতার একটা পরিচয় তুলে না ধরলে কোথাও একটা অসম্পূর্