Loading...
নীতিনকুমার বিশ্বাস পুলিশ-শিল্পী। কোচবিহারে মদনমোহন মূর্তি চুরি থেকে পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণ মামলা, খাদিম-কর্তা অপহরণ থেকে সার্জেন্ট বাপি সেন হত্যা রহস্যের কিনারা হয়েছে তাঁর হাতের জাদুতে। বহু কুখ্যাত অপরাধী ধরা পড়েছে তাঁর আঁকা ছবির সূত্রে। দীপঙ্কর ভট্টাচার্য কতই বা বয়স হবে তখন, বছর তেরো! বাড়ি ছেড়ে পালালেন নীতিন। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করল বজবজে, ট্রেনে। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় আগে উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ যাওয়া সহজ ছিল না। পকেট ভর্তি পেনসিল, রং, তুলি-সহ ধরা পড়া ওই কিশোরকে পুলিশকর্তা যখন জিজ্ঞেস করলেন, কেন পালিয়েছিলে, নীতিনের জবাব— ‘‘আঁকব বলে। বাড়ির লোক আঁকতে দেয় না।’’ ঘরে ফিরলেন নীতিন, কিন্তু বুকের ভিতরের ঘরছুট ভাবটা রেহাই দেয়নি তাঁকে। আবারও ঘর ছেড়েছেন। সঙ্গী কাগজ-পেনসিল, রং-তুলি। বাবা চাইতেন পড়াশোনাতেই সময় দিক ছেলে। দাদা গোবিন্দলালেরও সেই ইচ্ছে। কিন্তু নীতিনকে বাঁধবে কে? রাতবিরেতে বিছানা খালি। নীতিন ঘুরছেন সার্কাসের তাঁবু বা পুজো প্যান্ডেলে। সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ড বা অন্য আর্ট ওয়ার্কগুলো স্বেচ্ছায় এঁকে দিতেন। পয়সা নয়, তাঁর আনন্দ আঁকাতেই। ...