সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলায় ব্রাহ্মণ

মন্তব্যসমূহ

  1. আগম তান্ত্রিক পন্ডিত ব্যক্তিরাই সাবর তন্ত্রকে নিজের করেছেন কেন তা কি কেউ বলবেন। পুরীর পান্ডার মূলত সাবর জাতী।এই কুলীন ব্রাহ্মণেরা তাহলে তাদের তন্ত্রের সাথে সাবর তন্ত্র যোগ করার কারন কি? চৈতন্য দেবের হত্যার রহস্য অন্য কিছু হতে পারে। অনেকেই নিজের মত প্রতিষ্ঠায় তখন সম্ভবতঃ মরিয়া ছিলেন।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চৈতন্য হত্যার অনুসন্ধানে - তমাল দাশগুপ্ত

প্রথম পর্ব  পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পাণ্ডাদের মধ্যে একটা ভীষণ প্রবাদ চালু আছে, মালীবুড়োর শ্রীচৈতন্যের অন্তর্ধান রহস্য বইটা আমাদের জানাচ্ছে। এই পাণ্ডারা অনেকেই গর্ব করে বলে যে চৈতন্যকে তাদের পূর্বপুরুষেরা হত্যা করেছিল। কেন করেছিল? এরা বলে, এর কারণ চৈতন্য নাকি বাংলার মুসলমান শাসকের চর ছিলেন! আর তাই চৈতন্যর উড়িষ্যায় আগমনের পরেই প্রথমবারের জন্য গৌড়ের মুসলমান শাসক উড়িষ্যায় সফলভাবে হামলা করতে পেরেছিল। সাহসীজন এ ব্যাপারে পুরীতে গিয়ে উড়িয়া পাণ্ডাদের মধ্যে খোঁজখবর করে দেখতে পারেন এরকম একটা কথা চালু আছে কি না । চৈতন্য আন্দোলনের ফলে উড়িষ্যায় মুসলমান হামলা হয়েছিল, এই বক্তব্য এমনই জোরালো হয়ে ওঠে ক্রমে, যে প্রভাত মুখার্জি তার মেডায়েভাল বৈষ্ণবিজম ইন ওড়িশা গ্রন্থে এটিকে রীতিমত তথ্য ও যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করেছেন, অর্থাৎ এটি উড়িয়ে দেওয়ার মত অকিঞ্চিতকর প্রলাপ নয়, অনেক উড়িষ্যাবাসী এতে বিশ্বাস করেন। ইন ফ্যাক্ট খোঁজ নিলে দেখবেন, অনুরূপ চাপা চৈতন্যবিদ্বেষ বাংলাভাষী হিন্দুত্ববাদীদের অনেকের আছে, এরাও একইরকম মনে করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে চৈতন্যর সাম্যময় ভক্তি আন্দোলনের ফলে পাণ্ডাদের মৌ...

বনেদি কলকাতার ঘর বাড়ি

          পথ চলতে চলতে চোখে পড়ে কলকাতার স্কাইলাইন কি দ্রুত পালটে যাচ্ছে। এমন একদিন হয়তো আসবে, যেদিন বহুতল বাড়ি আর ব্যস্ত রাস্তার লোকজনের ভিরে পুরনো কলকাতার  স্থাপত্যের বনেদিয়ানা একেবারেই হারিয়ে যাবে। সেই স্থাপত্যকে যতটা সম্ভব ধরে রাখতে গিয়েই, তাদের কথা বাঙালির মনে পৌঁছে দিতে গিয়েই এই প্রচেষ্টা।        কলকাতার গলিতে-ঘুঁজিতে পুরনো ধুলোর গন্ধভরা এক একটি অট্টালিকার অন্ধকার বিশাল বিশাল কক্ষে সময় আঠারো বা উনিশ শতকে থমকে আছে। সেই কলকাতার ইতিহাস, সমাজতত্ব, সংস্কৃতি আমাদের অভিভুত না করে পারে না।        এই শহরকে যারা হাতে ধরে গড়ে তুলেছিল। নিজেদের পাশাপাশি এই শহরকেও করেছিল বিত্তশালী তাদের কথাই মনে করিয়ে দেয় অট্টালিকা গুলো। আজ তারা নেই, কিন্তু রয়ে গেছে তাদের স্মৃতি।      স্থাপত্যের বহিরঙ্গের সৌন্দর্যই তার একমাত্র পরিচয় নয়। তার ভিতরের মানুষের ইতিহাস, জীবনচর্চা ও সংস্কৃতি এই সবই এই স্থাপত্যের অঙ্গ। তাই প্রাসঙ্গিক ভাবেই এসেছে বনেদি কলকাতার মানুষের কথা। প্রত্যেকটি বনেদি বাড়ির ছিল আলাদা আলাদা স্বকীয় বৈশিষ্ট্য।...