কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ মধ্যযুগে কালীমূর্তি তৈরি করছেন এবং তারপরের চারশো বছরে বাঙালি কর্তৃক মা কালীর উপাসনা যেভাবে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ছে, তা থেকে স্পষ্ট যে এটি একটি ধর্মসংস্কার আন্দোলন ছিল, এবং মুষ্টিমেয় ভাবুকের ওপরতলা থেকে প্রেরিত সংস্কার নয়, ইংরেজ আমলের বিধবাবিবাহের মত, এ ছিল গণসংস্কার। সংস্কার মানেই তো শুধু অতীতকে ভাঙা নয়, কেবল রীতিনীতিকে ধ্বংস করা নয়, অনেকসময় অতীতকে নতুনভাবে রক্ষা করাও। বাঙালি প্রাচীনকাল থেকেই মাতৃকা উপাসক, তন্ত্রে আর সাংখ্যে যাকে প্রকৃতি বলে, বাঙালি সেই শক্তির উপাসক। চার হাজার বছরের পুরোনো পাণ্ডু রাজার ঢিবিতে অনেকগুলি মাতৃকামূর্তি পাওয়া গেছে। কিন্তু এই বাঙালি জাতি এতগুলো ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে গেছে, যে তার ইতিহাস ছিন্নপত্রের মত, যার সর্বাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরছে। প্রাচীনযুগে মাৎস্যন্যায় এসেছিল। মধ্যযুগে বখতিয়ার খিলজিরা এসেছেন, নালন্দা সহ সবকটি বিশ্ববিদ্যালয় পুড়ে গেছে। ফলে একটানা ধারাবাহিকতা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু জমি যেখানে বহু শতাব্দী ধরে উর্বরা, সেখানে সামান্য যত্নেই সোনার শস্য ফলে, সেটা শাক্তসঙ্গীতের ইতিহাস দেখলে বোঝা যায়। ধর্মবিস্তার কখনই ধর্মসঙ্গীত ...